এস. জয়শঙ্কর: ইউপিএসসি, জরুরি অবস্থা ও নেতৃত্ব
এস. জয়শঙ্কর: ইউপিএসসি ইন্টারভিউ, জরুরি অবস্থা এবং নেতৃত্বের পাঠ
বর্তমান বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর শুধুমাত্র একজন রাজনীতিবিদ নন, তিনি একজন প্রাক্তন সিভিল সার্ভেন্টও। তাঁর কর্মজীবনের শুরুতে, তিনি ভারতের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি, ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তাঁর ইউপিএসসি ইন্টারভিউয়ের অভিজ্ঞতা, জরুরি অবস্থার সময় তাঁর যোগাযোগ দক্ষতা এবং নেতৃত্বগুণ নিয়ে আলোচনা করা যাক।
ইউপিএসসি ইন্টারভিউয়ের অভিজ্ঞতা
এস. জয়শঙ্কর जागरण পত্রিকার একটি সাক্ষাৎকারে তাঁর ইউপিএসসি ইন্টারভিউয়ের দিনের কথা বর্ণনা করেছেন। তিনি জানান, তাঁর ইন্টারভিউটি ছিল জরুরি অবস্থার শেষ দিনে। এই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানান, কীভাবে তিনি চাপের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে শিখেছিলেন এবং কীভাবে কাউকে অসন্তুষ্ট না করে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করতে হয়, সেই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।
জরুরি অবস্থার প্রেক্ষাপট
১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ভারতে জরুরি অবস্থা জারি ছিল। এই সময়কালে মৌলিক অধিকার স্থগিত করা হয়েছিল এবং সংবাদপত্রের উপর সেন্সরশিপ আরোপ করা হয়েছিল। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অনিশ্চয়তার মধ্যে, সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য দ্রুত এবং কার্যকরভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যাবশ্যক ছিল। জয়শঙ্কর সেই সময়ে একজন তরুণ সিভিল সার্ভিস প্রার্থী ছিলেন এবং জরুরি অবস্থার পরিস্থিতি তাঁকে অনেক মূল্যবান শিক্ষা দিয়েছিল।
যোগাযোগের গুরুত্ব
জয়শঙ্কর বলেন, জরুরি অবস্থার সময় তিনি শিখেছিলেন কীভাবে কঠিন পরিস্থিতিতেও যোগাযোগ বজায় রাখতে হয়। তিনি বুঝেছিলেন, একজন সরকারি কর্মচারীর জন্য অত্যন্ত জরুরি পরিস্থিতিতে সঠিক সময়ে সঠিক কথা বলা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর মতে, যোগাযোগের দক্ষতা শুধুমাত্র তথ্য আদান প্রদানেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি একটি শক্তিশালী হাতিয়ার যা সংকট মোকাবিলায় সাহায্য করতে পারে।
নেতৃত্বের শিক্ষা
জয়শঙ্কর আরও বলেন যে, তিনি নেতৃত্ব দেওয়ার সময় শিখেছিলেন কীভাবে বিভিন্ন মতের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হয় এবং কীভাবে কাউকে অসন্তুষ্ট না করে নিজের মতামত প্রকাশ করতে হয়। তাঁর এই শিক্ষা ভবিষ্যতে তাঁকে একজন সফল কূটনীতিক এবং রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে জয়শঙ্করের বার্তা
বর্তমান বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর নতুন সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তাদের ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, তরুণ কর্মকর্তাদের মধ্যে দেশপ্রেম এবং সেবার মানসিকতা থাকতে হবে, যাতে তারা দেশের উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবর
হরিয়ানার টিবি (TB) অফিসার রাজেশ রাজু একটি রেফারেন্স ল্যাব পরিদর্শন করেছেন এবং সমস্যা সমাধানের জন্য একটি প্যানেল গঠন করেছেন। দ্য ট্রিবিউনের খবর অনুযায়ী, ইন্টারমিডিয়েট রেফারেন্স ল্যাবরেটরি (IRL) একজন সুইপার নিয়োগের পর পুনরায় চালু হওয়ার একদিন পর, রাজ্য টিবি অফিসার ডাঃ রাজেশ রাজু রবিবার রাজ্য-স্তরের সুবিধাটি পরিদর্শন করেন। এই পরিদর্শনের উদ্দেশ্য ছিল সেই পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা যার কারণে এর গুরুত্বপূর্ণ যক্ষ্মা (TB) কালচার এবং ওষুধ সংবেদনশীলতা পরীক্ষা সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল।
অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর, অলরাউন্ডার নীতিশ কুমার রেড্ডি ইনজুরির কারণে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন। তার জায়গায় কুলদীপকে খেলানো হতে পারে। এছাড়া, পান্তকে স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলানোর বিষয়েও আলোচনা চলছে। সেক্ষেত্রে জুয়েল উইকেটকিপিংয়ের দায়িত্ব নিতে পারেন।
এছাড়াও, টাইমস নাউ নিউজের তথ্যমতে, সাইয়ারা (Saiyaara) সিনেমাটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহান্তেই বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ১০০ কোটি রুপির বেশি আয় করেছে।
উপসংহার
এস. জয়শঙ্করের ইউপিএসসি ইন্টারভিউয়ের অভিজ্ঞতা এবং জরুরি অবস্থার সময়ের শিক্ষা আজও কর্মকর্তাদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক। তাঁর যোগাযোগ দক্ষতা, নেতৃত্বগুণ এবং দেশপ্রেম নতুন প্রজন্মকে উন্নত ভারত গঠনে উৎসাহিত করবে।