ভারতে অসমতা হ্রাস: চতুর্থ সবচেয়ে সমান দেশে পরিণত হওয়ার গল্প

Byশ্রেয়সী দত্ত
#ভারত অসমতা#চতুর্থ সমান দেশ#দারিদ্র্য হ্রাস#সরকারি উদ্যোগ#ভারতের উন্নয়ন

Mastering ভারতে অসমতা হ্রাস: চতুর্থ সবচেয়ে সমান দেশে পরিণত হওয়ার গল্প

ভারতবর্ষে অর্থনৈতিক বৈষম্য একটি জটিল এবং বহুমাত্রিক সমস্যা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ভারত সরকার এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই বৈষম্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। দ্য হিন্দুর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত এখন বিশ্বে চতুর্থ ‘সবচেয়ে সমান’ দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে দারিদ্র্য হ্রাস এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক উদ্যোগ।

চতুর্থ সমান দেশ: প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ভারত দ্রুত দারিদ্র্য দূরীকরণে সফল হয়েছে। এর ফলে অর্থনৈতিক বৈষম্য কমেছে এবং একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনের মূল কারণগুলো হলো সরকারের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি।

দারিদ্র্য হ্রাসে সরকারি উদ্যোগ

ভারত সরকার দারিদ্র্য দূরীকরণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি আইন (MGNREGA): এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারগুলোকে বছরে অন্তত ১০০ দিনের নিশ্চিত মজুরিভিত্তিক কাজ দেওয়া হয়। এটি গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সহায়ক হয়েছে।
  • প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনা (PMJDY): এই প্রকল্পের অধীনে দরিদ্র মানুষদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে, যা সরাসরি তাদের কাছে সরকারি সুবিধা পৌঁছে দিতে সাহায্য করে।
  • জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন (NFSA): এই আইনের মাধ্যমে দরিদ্র পরিবারগুলোকে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্য সরবরাহ করা হয়, যা তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি: সরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে, যাতে দরিদ্র মানুষজন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে।

সাফল্যের কারণ

ভারতের এই সাফল্যের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলো সরাসরি দরিদ্র মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলেছে। দ্বিতীয়ত, শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ সচেতন হয়েছে এবং নিজেদের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে উৎসাহিত হয়েছে। তৃতীয়ত, অর্থনৈতিক সংস্কারের ফলে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, যা দারিদ্র্য কমাতে সাহায্য করেছে।

বৈষম্য হ্রাসের প্রভাব

ভারতে বৈষম্য হ্রাসের ফলে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে, তারা ভালো খাবার, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। এছাড়া, সামাজিক অস্থিরতা কমেছে এবং সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে।

ভবিষ্যতের সম্ভাবনা

ভারত যদি উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারে, তবে ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে পরিচিত হতে পারবে। বিশ্বব্যাংকের মতে, ভারতের অর্থনীতিতে আরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলোর সম্প্রসারণের মাধ্যমে এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।

পৃথিবীর ঘূর্ণন এবং সময়ের পরিবর্তন

অন্যদিকে, পৃথিবীর ঘূর্ণন গতির পরিবর্তনের কারণে দিন ছোট হয়ে আসছে। India.com-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই ও আগস্ট মাসে এর প্রভাব বেশি পড়বে। এই পরিবর্তনের সাথে অ্যাটমিক ঘড়ির সময় মিলিয়ে নেওয়ার জন্য লিপ সেকেন্ড ব্যবহার করা হয়।

ক্রিকেটে শুভমান গিলের রেকর্ড

ক্রিকেটের ময়দানেও ভারত নতুন উচ্চতা স্পর্শ করেছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, শুভমান গিল এজবাস্টন টেস্টে অসাধারণ ব্যাটিং করে একাধিক রেকর্ড গড়েছেন। তিনি ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ স্কোর করার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।

উপসংহার

সবশেষে বলা যায়, ভারত বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করছে এবং একটি শক্তিশালী জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে নিজেদের স্থান করে নিচ্ছে। অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং ক্রীড়াঙ্গনে সাফল্যের মাধ্যমে ভারত এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (FAQ)

ভারত কিভাবে বিশ্বে চতুর্থ সবচেয়ে সমান দেশে পরিণত হয়েছে?

ভারত সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন এবং সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থনৈতিক বৈষম্য কমিয়ে এনে চতুর্থ সবচেয়ে সমান দেশে পরিণত হয়েছে।

MGNREGA প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য কী?

MGNREGA প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রামীণ দরিদ্র পরিবারগুলোকে বছরে অন্তত ১০০ দিনের নিশ্চিত মজুরিভিত্তিক কাজ দেওয়া।

প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার তাৎপর্য কী?

প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনার মাধ্যমে দরিদ্র মানুষদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে, যা সরাসরি তাদের কাছে সরকারি সুবিধা পৌঁছে দিতে সাহায্য করে।